
নিশের অন্ধকারে গ্রামটি থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। সবাই জানত, পুরনো মন্দিরের পাশের বনটিতে একটা ভূত ঘুরে বেড়ায়। গ্রামের লোকেরা বলতো, বহু বছর আগে এক পণ্ডিত এখানে আত্মহত্যা করেছিলেন। তার আত্মা এখনও সেই জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
নিশের অন্ধকারে গ্রামটি থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। সবাই জানত, পুরনো মন্দিরের পাশের বনটিতে একটা ভূত ঘুরে বেড়ায়। গ্রামের লোকেরা বলতো, বহু বছর আগে এক পণ্ডিত এখানে আত্মহত্যা করেছিলেন। তার আত্মা এখনও সেই জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
একদিন, গ্রামের এক তরুণ, রবি, সাহসিকতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সিদ্ধান্ত নিল। সে রাতের আঁধারে মন্দিরের দিকে হাঁটতে শুরু করল। পেছন থেকে অন্ধকারের মধ্যে কিছু জোড়া চোখ তাকে অনুসরণ করছে, কিন্তু সে ভয় পায়নি। মন্দিরে পৌঁছে, সে চারপাশে দেখল—প্রাচীন মূর্তিগুলো মনে হচ্ছে যেন তার দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ, একটি হাওয়া লেগে মন্দিরের দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলা হয়ে গেল। রবির মনে ভয়ের সঞ্চার হল, কিন্তু সে ভিতরে ঢুকল। ভিতরের অন্ধকারে একটি ভাসমান আকার দেখতে পেল—একটি পাণ্ডিতের সাদা কাপড় পরা ভূত। ভূতটি রবিকে দেখল এবং ধীর গলায় বলল, "তুমি কেন এসেছ?"
রবি বলল, "আমি সত্যি জানতে চাই। আপনি কি শান্তি চান?" ভূতটি কিছুক্ষণ চুপ রইল, তারপর বলল, "আমার আত্মা কেবল মুক্তি চায়। আমাকে মুক্তি দিতে হলে তোমাকে আমার বেদনার গল্প শুনতে হবে।"
রবি তখন ভূতের কাহিনী শুনতে লাগল—কিভাবে সে প্রেমে betrayed হয়ে নিজের জীবন শেষ করে ছিল। রবির হৃদয়ে compassion তৈরি হলো। সে প্রতিজ্ঞা করল, ভূতকে মুক্তি দিতে সে একটি অনুষ্ঠান করবে।
পরের দিন, গ্রামের সবাইকে নিয়ে রবি মন্দিরে একটি পূজার আয়োজন করল। সবাই মিলে প্রার্থনা শুরু করল। হঠাৎ, মন্দিরে একটি উজ্জ্বল আলো চারপাশকে আলোকিত করল, এবং ভূতটি ধীরে ধীরে সরে যেতে লাগল।
ভূতটি শেষবার রবিকে দেখল এবং বলল, "ধন্যবাদ, তুমি আমাকে মুক্তি দিলে।" তারপর, সে এক স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। গ্রামের লোকেরা এবার জানল, মন্দিরে আর কোনো ভূতের ভীতি নেই। রবির সাহস ও সদয়তা গ্রামটিকে নতুন করে সাজালো।
https://www.facebook.com/profile.php?id=100026669805177&mibextid=ZbWKwL
No comments:
Post a Comment